শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী সরকারী কলেজের মাঠে নিয়মিত বসছে বাঁশের হাট। হাটে বাঁশ আনা-নেওয়া ও বিক্রির হট্টগোলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এতে একদিকে যেমন দখল হয়ে আছে কলেজের খেলার মাঠ, অন্যদিকে ক্লাসে লেখাপড়া ও পরীক্ষার হলে মনোযোগ দিতে পারছে না কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী।
সপ্তাহের প্রতি বুধবার এই বাঁশের হাট বসে। তবে বুধবার হাট বসলেও মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয় হাটের কার্যক্রম, যা চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সেই হিসেবে সপ্তাহের ৩দিনই হাটের লোকজনের আনা-গোনা ও কার্যক্রম চলতে থাকে।
কালুখালী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র আশিক মন্ডল বলেন, ‘হাটে অতিরিক্ত কোলাহল হয়। ক্লাস চলাকালীন সময়েই হাট বসে। ক্লাসে স্যারের পড়ায় মনোযোগ দিতে পারি না। মাঠ দখল হয়ে থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারি না।’
এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, ‘হাটে আসা লোকজন মেয়েদের দেখলেই অশ্লীল কথা বলে। এতে আমাদের খুব খারাপ লাগে।’
এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘কলেজের সামনেই এই মাঠ। মাঠে বাঁশের হাট থাকায় কলেজে আসতে যাতায়াতে সমস্যা হয়।’
কলেজের দর্শন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশীদ জানান, ‘কলেজের প্রবেশ মুখেই মাঠ। সেখানে নিয়মিত বাঁশের হাট বসছে। এতে কলেজে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।’
ভূগোল বিষদের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে কলেজের অফিস সহায়ক লুৎফর রহমানের কোমরের নিচে বাঁশের চিকন অংশ ঢুকে যায়। এতে জখম হয়ে দীর্ঘদিন সে অসুস্থ ছিল।’
সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, ‘কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চাওয়া শিক্ষা ও খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কলেজের মাঠ থেকে বাঁশের হাট দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হোক।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হাসান বলেন, ‘কলেজের এই মাঠটি ৯১ শতাংশ জমির উপরে অবস্থিত। এই জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে জমিটি লীজ গ্রহণ করে। গত ৪বছর ধরে এখানে হঠাৎ করেই বাঁশের হাট বসছে, যা আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, শিক্ষা কার্যক্রম, খেলাধুলাসহ নানাবিধ কর্মকান্ডে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি চাই।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।’
Leave a Reply